রাতের রূপচর্চা

রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন | Banglar Shomoy 

 

 রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে রাতের রূপচর্চা  সব থেকে বেশি কার্যকর। ব্যস্ত এই সময়ে নিজের যত্ন কতটুকুই বা নেয়া যায়। গৃহিণীদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় সেই সাতসকালেই। আর কর্মজীবী নারীদের তো সারাদিন কাজ করে বাসায় ফিরেও শেষ নেই কাজের। সংসার দেখাশোনার সঙ্গে সঙ্গে পরের দিনের কাজের প্রস্তুতি নিতে নিতেই ঘুমের সময় হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা আরও ব্যস্ত, সারা দিনে নিজের দিকে একটু তাকানোর সুযোগটা কোথায়! প্রতিদিনের নিয়মিত পরিচর্যার কোটা তাই খালিই পড়ে থাকে। ফলাফল ত্বক-চুলের নানাবিধ সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া, আরও কত কিছু। এই যখন অবস্থা, তখন এর আদর্শ সমাধান হতে পারে ঠিক ঘুমাতে যাওয়ার আগের সময়টুকুতে রূপচর্চার কাজটুকু সেরে ফেলা। রাতের বেলায় রূপচর্চা আপনাকে মুক্তি দিবে নানাবিধ সমস্যার হাত থেকে। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলায় ।

 

 

রাতের বেলায় রূপচর্চা কেন জরুরী????------

 যারা সারাদিন বাইরে কাজ করেন, তাদের ত্বকে ধুলো ধোঁয়া ইত্যাদি জমা হয়। সন্ধ্যা বা রাতে বাড়ি ফেরার পর সারাদিনের জমে থাকা ময়লা এবং ব্যবহৃত মেকআপ ভালো করে ত্বক থেকে উঠিয়ে দেয়া জরুরী। মূলত এই কারণেই রাতে রূপচর্চার প্রয়োজন। অস্বাভাবিক পরিবেশ দূষণে মুখে যা ধুলাবালি জমা হয় এগুলো ত্বকে জমিয়ে রেখে দিলে ত্বকের করুন অবস্থার কথা আশা করি বলার অপেক্ষা রাখে না। ময়লা তুলে না ফেললে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবে না তার ফলে ব্রণ, ব্ল্যাককহেডস, হোয়াইট হেডস বা ত্বকের আরও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে 

রোদ তো বটেই দিনের আলোও ত্বকের জন্য অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। রাতে সে সম্ভাবনা নেই, কাজেই তখন কিছু লাগালে পরিষ্কার ত্বকের উপর তা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। ঘুমন্ত অবস্থায় মেটাবলিজমও (Metabolism) কম হয়, ত্বক থাকে অনেক আরামে। তাছাড়া ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুমানোর কারণে ক্রিম কার্যকর হবার মতো সময় পায়। যেটা দিনের বেলা হাজার কাজকর্ম হইচই, খাওয়াদাওয়ার মাঝে অসম্ভব। কাজেই ত্বকের পুষ্টি ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রসাধন ও পরিচ্ছন্নতা রাতে করাই যুক্তিযুক্ত। তবে দিনের কাজের মাঝে সময় করে নিয়ে দুই একবার যদি মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। তাহলে রাত্রের রূপচর্চা আরও কার্যকর হবে, এ সম্পর্কে সন্দেহ নেই।

 

রাতের বেলায় ত্বকের যত্নঃ

 

 জেনে নিন, ত্বক দ্রুত ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় – PBA Agency For Photo News

 সুন্দর ত্বকের মূলমন্ত্রই হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। ত্বকের ময়লা ঠিকমত পরিষ্কার করা না হলে ব্রণ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে, রুক্ষ ও অমসৃণ। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মুখটাকে পরিষ্কার করে ঘুমালে সারা রাতের লম্বা সময় ত্বক হয়ে উঠবে একেবারে তরতাজা। আমাদের গরমের দেশে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় ত্বক তেলতেলে ও আর্দ্র হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে মৃদু সাবান ও পানি দিয়ে মুখ ধোয়া খুব ভালো। অবশ্য শুষ্ক ত্বকে সাবানের বদলে ক্লিঞ্জিং লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা উচিত ভিজে তুলো।

 

ধাপ-১

প্রথমে মুখ ধুয়ে নিন আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন কোনো ফেইসওয়াশ দিয়ে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ ফেইসওয়াশ।

ধাপ-২

এরপর ব্যবহার করুন ফেইসপ্যাক। ঘরেই তা বানাতে পারেন।

 

 শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ

 

 শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে যে ভুলগুলো সবাই করে

 

 

শুষ্ক ত্বক পরিষ্কার করার উপায় খানিকটা কৌশলের বিষয়। এমনভাবে পরিষ্কার করতে হয় যেন ত্বক খুব বেশি শুষ্ক না হয়ে পড়ে। তাই আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফেইস ওয়াশ কুসুম গরম পানির সাহায্যে ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক খুব একটা শুষ্ক হবে না। মুখ ধোয়ার পরে তা তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে মুছে ফেলতে হবে।

 

ত্বক শুষ্ক হলে পরিষ্কার করতে তেল ব্যবহার করুন। জোজোবা, আর্গন এবং অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহার করা ভালো উপায়। নারিকেল তেল ব্যাক্টেরিয়া রোধী এবং আর্দ্রতা বর্ধক উপাদান সমৃদ্ধ। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে এই তেলও বেছে নিতে পারেন।

 

হাত পরিষ্কার করে এক চামচ নারিকেল তেল হাতের তালুতে নিন। তেলটা হাতে ঘষে তা মুখে লাগান। তবে মুখে খুব বেশি ঘষা যাবে না। 

 

গোলাকার ভাবে তেল মালিশ করুন। কয়েক মিনিট পরে কুসুম গরম পানি বা ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। এটা ত্বক পরিষ্কার করে ও আর্দ্র রাখে। 

 

সাধারণত, বেশিরভাগ মানুষই শুষ্ক ত্বকে টোনার ব্যবহার করেন না। যা ঠিক নয়। ত্বক পরিষ্কার করার পরে অবশ্যই টোনার ব্যবহার করতে হবে। অ্যালকোহল নেই এমন টোনার ব্যবহার করতে হবে। এটা ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে। 

মনে রাখতে হবে, শুষ্ক ত্বকে আলতোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়।

 

Comments